হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার সঙ্গে ইরানের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক সবসময়ই শত্রুতামূলক ছিল। ৪৫ বছর ধরে যে-ই হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় এসেছে—গণতান্ত্রিক বা রিপাবলিকান—সবাই একই নীতি অনুসরণ করেছে: নিষেধাজ্ঞা, চাপ ও সীমাবদ্ধতা।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের বক্তব্য বিষয়টিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে আমেরিকার বিরোধের মূল কারণ হচ্ছে ইরানের “আমেরিকার নির্দেশ না মানা।”
অতীতে যুক্তরাষ্ট্র নানা অজুহাত তুলে ধরত—সন্ত্রাসবাদ, মানবাধিকার, নারী অধিকার কিংবা গণতন্ত্র। কিন্তু এবার সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হলো, মূল বিষয় হলো আনুগত্য।
বিশ্লেষকদের মতে, এ বক্তব্য আমেরিকার আসল উদ্দেশ্যকে নগ্নভাবে প্রকাশ করেছে। একটি হাজার বছরের ইতিহাস ও সংস্কৃতিসম্পন্ন জাতিকে শুধু নির্দেশ মানার জন্য বাধ্য করতে চাওয়াই সম্পর্কের টানাপোড়েনের মূল কারণ।
ইরানের অভ্যন্তরে অনেকেই মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসলেই সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু ইরানি নেতৃত্ব বলছে, সমস্যার মূল আমেরিকার দাবি—“নির্দেশ মানা।” আর এই দাবি ইরানি জাতির জন্য অগ্রহণযোগ্য ও অপমানজনক।
তাদের বক্তব্য স্পষ্ট: ইরান তার মর্যাদা, স্বাধীনতা ও গৌরব বিসর্জন দিয়ে কোনো শক্তির অধীন হতে রাজি নয়। তাই যে কেউ এ ধরনের প্রত্যাশা রাখবে, ইরানি জনগণ ও রাষ্ট্র সর্বশক্তি দিয়ে তার বিরোধিতা করবে।
আপনার কমেন্ট